২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দায়িত্বরত ২ আনসার সদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছে।
আহত আনসার সদস্যরা হলেন, মো.মিল্লাত হোসেন (৪৫ ও মো.মুনসুর (৩৮)।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিধ কামরুল হাসান মাসুদ জানান, হাসপাতালের অভ্যন্তরে গড়ে উঠা অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড উচ্ছেদে দায়িত্ব পালন করার জন্য গত ১৫ দিন আগে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দুইজন আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের পর থেকে অবৈধ সকল স্ট্যান্ড উচ্ছেদে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অবৈধ স্ট্যান্ড চক্রের মূল হোতা নোয়াখালী পৌরসভা এলাকার হাসপাতাল রোডের খাঁন বাড়ির মুগবুল খানের ছেলে মাহফুজ ওরফে মাফু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
অভিযোগ রয়েছে মাহফুজ হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি করে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ফটকে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ফটকের যানজট নিরসনে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয়। এ সময় রিকশায় থাকা অবৈধ স্ট্যান্ড চক্রের মূল হোতা মাহফুজ রিকশা থেকে উত্তোজিত হয়ে নেমে কর্তব্যরত ২ আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। পরে মাহফুজ তার সহযোগীদেরকে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এতে ২ আনসার সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। এদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে আনসার সদস্য মিল্লাতের পেটের নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায় এবং মুনসুরের ফুসফুসে ছুরিকাঘাত পায়। মুনসুরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মিল্লাত বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপরদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, হাসপাতালের অভ্যন্তরে সকল অবৈধ রিকশা, সিএসজি, অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডসহ অবৈধ দোকন পাট উচ্ছেদ, চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ইর্ন্টান ডাক্তার এসোসিয়েশন, নার্সেস এসোসিয়েশন, স্বাধীনতা স্বমনয় পরিষদ, ১৭-২০ গ্রেডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, স্টুন্ডেস নার্সেস এসোসিয়েশন সহ হাসপাতালের কর্মচারীরা সকল সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে হাসপাতালের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং জরুরি সেবা ছাড়া আগামী ১২ ঘন্টা সকল সেবা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।