করোনা মহামারির শুরুতে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে অনেকেই ব্যাপক সমস্যায় পড়েন। সার্জিকাল মাস্ক নাকি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করবে তা নিয়ে দোটানায় পড়ে অনেকে।
তবে বেশ কিছু গবেষণায় সার্জিকাল মাস্কের পাশাপাশি কাপড়ের মাস্কও ব্যবহারের কথা বলা হয়। অনেক গবেষণায় এমনও তথ্য উঠে আসে যে কাপড়ের মাস্ক অনেক আরামদায়ক এবং নিরাপদ।
তবে গত আগস্টে প্রকাশিত ইয়েল ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ভাইরাস পার্টিকেল ফিল্টারের ক্ষেত্রে সার্জিকাল মাস্ক ৯৫ শতাংশ কার্যকর। গবেষণাটি এখন পিয়ার রিভিউ করা হচ্ছে। কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রে এ হার ৩৫ শতাংশ মাত্র।
সাবান পানি দিয়ে দশবার সার্জিকাল মাস্ক ধোয়ার পরও এর কার্যকারিতা একই থাকে। তবে এসব মাস্ক একবার ব্যবহারের পর পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
সার্জিকাল মাস্ক কেন কাপড়ের মাস্কের চেয়ে ভালো
মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারি অধ্যাপক ইয়াং ওয়াং এর মতে, মানুষের কথা বলা, শ্বাস নেওয়া, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নির্গত ভাইরাস পার্টিকেল ঠেকাতে কাপড়ের মাস্কও বেশ ভালো কাজ করে।
অনেক মানুষই এখন কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কাপড়ের মাস্ক তুলনামূলক আরামদায়ক, দাম কম, পুনর্ব্যবহারযোগ্য, ফ্যাশনেবলও।
কাপড়ের মাস্কের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর স্থায়িত্বকাল। সার্জিকাল মাস্ক ও কেএন৯৫ এর ঠিক বিপরীত।