মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত গতকাল সমবার (২৭ জুন) যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানী মালের স্থানীয় একটি হলরোমে First Economic Diplomacy Week – 2022 পালন করা হয়। এই উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার,ওষুধ সামগ্রী ইত্যাদি ধরনে বাংলাদেশী প্রায় ৩৫০টি পন্য প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহামেদ ইয়াদ হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী ও অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া ও আরো উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীম,ডক্টর’স প্রতিনিধিবৃন্দু সহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও তর্জমার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়। এরপর হাই কমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা একটি প্রেসেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পন্য নিয়ে নির্মিত একটি বিশেষ ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। প্রধান অতিথি মালদ্বীপের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহামেদ ইয়াদ হামিদ Economic Diplomacy Week অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এটি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
এরপর হাই কমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেত্রীত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন। মালদ্বীপ আমদানি নির্ভর দেশ হওয়ায় তিনি সকল মালদ্বীভিয়ান ও প্রবাসী ব্যবসায়ীবৃন্দকে বাংলাদেশ হতে মালদ্বীপে উন্নততর মানের পন্য আমদানি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
সবশেষে নৈশভোজে বাংলাদেশী খাবার ও বাংলাদেশ হতে আমদানিকৃত ফলমূল পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ হতে আমদানিকৃত ওষুধ, এগ্রোফুড, হিমায়িত পন্য ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত সকলে অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সবশেষে ফটোসেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সবশেষে নৈশভোজে বাংলাদেশী খাবার ও বাংলাদেশ হতে আমদানিকৃত ফলমূল পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ হতে আমদানিকৃত ওষুধ, এগ্রোফুড, হিমায়িত পন্য ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত সকলে অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সবশেষে ফটোসেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।