তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানকে এবার জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ইত্তেফাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. বাকী বিল্লাহ। বিকেলে সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ডা. মুরাদকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
ডা. মো. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
এরআগে, বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যেই পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। যা মুরাদ হাসানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বেশকিছু দিন ধরে বিভিন্ন কারণে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। কখনও বিরোধী দলের নেতাকর্মী নিয়ে আবার কখনওবা চলচ্চিত্র জগতের লোকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। তবে গতকাল থেকে আরও ভয়ংকর তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঐ অডিও ক্লিপটিতে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অপর প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।- ইত্তেফাক।