বিবেক, আদশ্য,শ্রদ্ধা এই শব্দ গুলো আজকাল অপরিচিত হয়ে যাচ্ছে সবার কাছে,এখন কারো বিবেক তার অন্তর আত্মাকে বাধা দেয় না অপকর্ম করতে। অপকর্ম গুলো যেনো কর্মে রুপ ধারন করছে, কখন রূপহীন ভাবে কখনো অগোনিত রূপে।কালোকে আজকাল সহজেই সবাই সাদা বলতে দ্বিধা বোধ করে না, আমরা সবাই যেনো সেই কালোই সাদা রূপকে মেনে নিচ্ছি অকপটে। কেউ নিরুপায় হয়ে কেউ বা অভ্যাসের দোষে,দোষহীন মানব সমাজে মানব কঙ্কালের কঙ্কালসার হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে পোশাকের আবরনে।পোশাক হীন মানব জন্মসূত্রে আর পোশাকের বেশ ধারন কর্মের আবর্তে। শিক্ষক মানে মনের ভেতরে একটা উচুস্হান। অনেকেই হয়ত ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতো একজন আদর্শ শিক্ষক হবে।বাবা মাও শিক্ষা কেন্দ্রে সন্তানকে পাঠাতেন চিন্তামুক্ত হয়ে। এখন আর সেই শিক্ষকের সম্মান নেই আছে শুধু নামের স্হান,সবার ক্ষেএে বললে ভুল বলা হবে, শিক্ষাকেও অপমান করা হবে, এমন দূরসাহস আমার নেই, থাকলে নিজের প্রতিও অসম্মান করা হবে।শিক্ষক সমাজে এই গ্লানি কিছু সংক্ষক শিক্ষকের জন্য, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করা হয় সেখানেই এমন শিক্ষকের সংখ্যা বেশী। টাকার জোরে পদ কেনা গেলেও বিবেক বুদ্ধি আর জ্ঞান কেনা কি সম্ভব? ইস্কুল কলেজের শিক্ষকে রাস্তায় দেখলে দারিয়ে যাওয়া সালাম দেওয়া স্যার না যাওয়া পযন্ত অপেক্ষা করা,স্যারের সামনে চেয়ারে বসে থাকা তা কল্পনায় ও কারো পক্ষে সম্ভব হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই, তবে এখনকার ছেলে মেয়ে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী আধুনিক তারা টিচারের সামনে সিগারেট খাওয়া, চেয়ারে পায়ের উপরে পা তুলে বসাটাকে আধুনিকতা মনে করে। আধুনিকতার নামে হারিয়ে যাচ্ছে শ্রদ্ধা বোধ।আর তার ফলে বেরে যাচ্ছে সমাজে অরাজকতা, এর জন্য দায়ী কে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা নাকি পারিবারিক শিক্ষা?
নারগিস সোমা
প্রভাষক ( রাজশাহী আর্ট কলেজ)
১৬.৫.২৩