বিদেশগামীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) সংগ্রহে কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি থেকে এ সেবা পেতে গ্রহীতাকে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন এবং ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত ব্যবসা, শিক্ষা, চাকরি, প্রশিক্ষণ, স্থায়ীভাবে বসবাস এবং ইমিগ্রেন্টসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যাতায়াত ও অবস্থান করতে হয়। এক্ষেত্রে যদি কোনো বাংলাদেশি ছয় মাসের বেশি বিদেশে অবস্থান করেন এবং পরে দেশে চলে আসেন, তাহলে পরবর্তীতে ওই দেশে বা অন্য কোনো দেশে যেতে হলে সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ক
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এরপর সরাসরি কিংবা দূতাবাসের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি আগে যে দেশে অবস্থান করেছিলেন, সে দেশে পাঠাতে হয়। আর সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহের মাধ্যমে আবার নতুন করে যে দেশে যেতে চান সে দেশের দূতাবাসে জমা দিতে হয়।
আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিবাসন ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রয়োজন সাপেক্ষে ১০ আঙুলের ছাপ ও সরবরাহের জন্য সিআইডির অতিরিক্ত আইজি বরাবর আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপি, চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের অফিস থেকে পাওয়া নাগরিক সনদপত্র এবং প্রতি সেট আঙুলের ছাপের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বহিরাগমন-১; অর্থনৈতিক কোড নং- ১-২২০১-০০০১-২৬৮১ এর অনুকূলে ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিয়ে ট্রেজারি চালানের কপি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে জমা দিতে হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, এছাড়া প্রয়োজন হলে প্রতি সেট (আঙুলের ছাপ) সত্যায়নের জন্য অতিরিক্ত আরও ২০০ টাকা আলাদাভাবে জমা দিয়ে ট্রেজারি চালানের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হয়।
তিনি জানান, সিআইডি’র ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীর দুই হাতের ছাপ গ্রহণ করে চাহিদা অনুযায়ী নাগরিক অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এ কার্যক্রম অভিবাসনে ইচ্ছুক ব্যক্তির সহযোগিতার জন্য সিআইডি’র ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। -channal24.com/online