রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলুচাষে ব্যস্ত চাষিরা

0
437
রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলুচাষে ব্যস্ত চাষিরা

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলুচাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে স্যালো মেশিনে পানি তুলে আলুর চাষ করছেন কৃষকরা। চরের বুকে আলু পাতার সবুজ সমারোহ যেন এক সমৃদ্ধির হাতছানি।

এ বছর ডিজেল, সার, কীটনাশক ও মজুরির দাম বেশি হওয়ার খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হচ্ছে। আলুর দাম ও ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।

সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ধরলা নদীর বুকে পতিত জমিতে সেভেন জাতের আলুর চাষ করেছি। এটি আগাম জাতের আলু। আলুর বীজ রোপণের পর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আগাম আলু তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে ২০-২৫ মণ আলু হয়। বর্তমান বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’

কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের আলু চাষি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিঘাপ্রতি ২৫ মণ আলু পাওয়া যাবে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। এ বছর তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘অন্য ফসলের পাশাপাশি চরগুলোয় এ বছর আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন।’