আকাশসীমা বন্ধ করলেও স্বস্তিতে নেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন

0
411

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ হামলার জেরে এরই মধ্যে রাশিয়ার বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ।  কানাডাও এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রুশ বিমান সংস্থা ‘অ্যারোফ্লোট’ একটি ফ্লাইট কানাডা আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। কানাডার পরিবহণমন্ত্রী বলেন, অ্যারোফ্লোট-১১১ কানাডার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। বিমান সংস্থাটির এই আচরণ পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া একে অপরের বিমানকে তাদের ভূখণ্ডে অবতরণ নিষিদ্ধ করেছে।

মস্কোর এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একে একে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ পশ্চিমা বহু দেশ। এই পরিস্থিতিতে মস্কোর পাল্টা পদক্ষেপের আশঙ্কা করছে ইইউ।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এর ফলে মস্কো বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করে থাকে। আর এই দু’টি বিষয় থেকে ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলা ও এতে করে সৃষ্ট সংকটকে পৃথক করা যাবে না।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- রাশিয়ার অন্যতম প্রধান একটি গ্যাস পাইপলাইনের অনুমোদন জার্মানি স্থগিত করলেও কার্যত মস্কো থেকে জ্বালানি আমদানি একটুও কমায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এমনিতেই ইউরোপজুড়ে জ্বালানির দাম এখন অনেক বেশি। এখন যদি রাশিয়ার পাল্টা পদক্ষেপে জ্বালানির সংকট শুরু হয় তাহলে মহাদেশজুড়ে এর দাম ছুটবে রকেটের গতিতে। এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বেশ ভালোভাবেই জানেন।

আর মূল সমস্যাটা এখানেই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ব্রাসেলস এখন ভয় পাচ্ছে যে, রাশিয়া হয়তো তাদের বিরুদ্ধ পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া হয়তো ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি স্থগিত করতে পারে কিংবা কমিয়ে দিতে পারে।