প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস । অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূতাবাস পরিবারবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতে দূতাবাস প্রাঙ্গনে পতাকা উত্তোলন করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ ফজলুল বারী। এর পরই জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় ।
দ্বিতীয় পর্বে, সকাল ১০:৩০ টায় আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । আলোচনা অনুষ্ঠানে গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরাকে নিযুক্ত ভারতের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব প্রশান্ত পিসে । আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করা হয় । এর পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় । নীরবতা পালন শেষে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী -এর বাণীসমূহ পাঠ করা হয় । বাণী পাঠের পর দূতাবাস পরিবারের পরিবারবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশীগণ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কবিতা ও গান পরিবেশন করেন । এরপরই উপস্থিত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনু্ষ্ঠিত হয় । বক্তারা সকলেই স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রাজালিক নেতৃত্ব, কৃতিময় জীবন, ত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করেন । সেই সাথে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ ফজলুল বারী তাঁর সমাপনি বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান । স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের বছরে বিজয় দিবস পালনে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা ও তাৎপর্য । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি অর্জিত হয়েছে । দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে । রূপকল্প ২০২১ -এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে SDG -এর লক্ষ্যমাত্রা এবং রূপকল্প ২০৪১ -এর উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং তাঁর নেতৃত্বেই অর্জিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা । তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার -এর উপর নির্মিত একটি প্রাম্যণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয় । এর পরেই বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অগ্রগতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং ইরাকস্থ সকল প্রবাসীদের নিরাপদ জীবন কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয় ।
তৃতীয় পর্বে, উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে পিলো পাসিং, হাড়িভাঙা, কাবাডি, ডার্ট গেইম ও বল নিক্ষেপ ইত্যাদি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খেলা অনুষ্ঠানকে বেশ উপভোগ্য করে তুলে । পরে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন । এছাড়াও দূতাবাসের দু’জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয় । সবশেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মান্যবর রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।