বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বিদেশের একটি হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। অথচ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
ফখরুল বলেছেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার থাকেন। সে জন্যই সরকার তাকে টার্গেট করে ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করিয়েছে। অথচ মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে বিদেশে একটি হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত তীব্র সমালোচনা করার জন্যই মোয়াজ্জেমকে হয়রানি করতে এই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব।
বুধবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে হত্যা, ফেনীতে সাংগঠনিক সফরে যাওয়া জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও তার সঙ্গীদের কোনো হোটেলে থাকতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, চারদিকে পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে বলেই জনবিচ্ছিন্ন সরকার জ্ঞানশূন্য হয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা তারই বহিঃপ্রকাশ। আমি অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হত্যা, খুন, জখমসহ রক্তাক্ত সহিংসতার কারণে দেশে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দল দমনের জন্যই সরকার এক মরণখেলায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেনকে হত্যা করেছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ ফারুক হোসেনকে কৌশলে থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সুযোগ করে দিয়েছে। ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। সূত্র: যুগান্তর।