আগে শুনেছি ছোট জায়গায় বাস করলে নাকি মানুষের মন ও ছোট হয়ে যায়,আসলে শোনা কথায় সব সময় বিশ্বাস করতে হয় না, তার প্রমান মিললো যখন কিনা মালদ্বীপে গেলাম। ছোট্ট দেশ, তার ভেতরে ছোট্র ছোট্ট শহর, সেই শহর গুলোতে থাকে স্বল্প মানিষ,স্বপ্ল মানুষের ভেতরে বাসবাস বিশাল হ্রদয়ের মানুষের, ছোট ছোট দ্বিপ এক কোনার দারিয়ে শেষ সিমানা চোখের কাছে ধরা দেয় খুব সহজেই যেমন, মানুষ গুলোও সহজ। আমরা অল্প কাজে ক্লান্ত হই অনেক বেশী তারা কাজ করে ওনেক ক্লান্ত হয় কম,তাদের ভেতরে দেখতে পাইনি খুব বেশী বয়সের ছাপ।
৬২ বছরের মানুষের গরন দেখে মনে হয় ৪৫ হবে। চারিদিক গারো/ হালকা নীলের অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা মালদ্বীপের মানুষ গুলোও যেনো নীলিমার রঙ মেখে চিরতরুন থাকে অনেকটা সময় ধরে। আবহাওয়া, পরিবেশ মানুষের বয়স ধরে রাখার অনেক বড় একটা কারন হয়ত।নিজের দেশে নিজের ভাষায় কথা বলতে শুনলে অবাক হবার আসলে কিছু নেই,যেমন অবাক হবার নেই নিজের ভাষার লেখা দেখে।
মালদ্বীপ গিয়ে প্রতিটা জায়গায় গিয়ে যখন নিজের ভাষার ( বাংলা দেশী) লোকের সাথে পরিচিত হলাম, কিছু দোকানে বাংলা লেখা দেখলাম অবাক হবার চেয়ে ভালো লাগাটা অনেক বেশী কাজ করলো নিজের ভেতরে।
মনে হলো নিজের দেশের অন্য একটা শহরে আছি। ওখানকার বসবাসরত বাংলাদেশী যারা আছেন তারাও দেখলাম নিজের দেশের মানুষদেরকে পেয়ে আপ্যায়নের চেস্টায় চেস্টারত সব সময়।একেই হয়ত বলে মাটির টান,ভালোবাসার টান ।একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা এখনো আছে বলেই হয়ত পৃথিবীটা অনেক বেশী সুন্দর। লেখক: নারগিস সোমা