বিশিষ্ট ব্যাংকার ও ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশেনের প্রাক্তন সভাপতি সিএম তোফায়েল সামি আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৬ই ডিসেম্বর) বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেন তিনি। পারিবারের সদস্যরা জানিয়েছেনÑ সিএম তোফায়েল সামি প্রয়াত স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের এক সভায় যোগ দিতে সোমবার সকালে বাসা থেকে বের হন। রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে যাওয়ার পথে তার বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। অনুষ্ঠানস্থলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রাজধানীর শ্যামলীস্থ স্পেলাজাইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার মরদেহ এখন ধানমন্ডির বাসভবনে রাখা হয়েছে। মরহুমের নামাজে জানাজা মঙ্গলবার বাদ জোহর ধানমন্ডি ঈদগাহ্ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হবে। জনাব সামি বর্ণাঢ্য কর্মজীবন থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে আমৃত্যু দেশের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও মানবতা হিতৈষী কর্মে সম্পৃক্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে, ভাই-বোন, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে জমিদার পরিবারের সন্তান জনাব তোফায়েল সামির সহোদর সিএম শফি সামি ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক: এদিকে বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সমাজসেবক তোফায়েল সামির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপি। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম তোফায়েল সামি দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সমাজসেবক হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। ঢাকাস্থ সিলেটিদের প্রাচীন সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও তিনি অনেক সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শফি সামির বড় ভাই। ড. মোমেন মরহুম তোফায়েল সামির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।