জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিশ্বে মাথা উচু করে চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এ ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ সব চ্যালেঞ্জে উত্তরণ ঘটিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ ও বৈষম্যহীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলারূপে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক- এই হোক আমাদের প্রত্যয়। আজ বুধবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার জন্য সাধারণ প্রস্তাব উপস্থাপনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর অধিবেশন ২০ মিনিটের জন্য মুলতবি করেন স্পিকার। পরে সংসদের বৈঠক শুরু হলে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব তোলেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। ওই প্রস্তাবের উপর সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি কন্ঠভোটে পাসের জন্য উপস্থাপন করা হবে। অতীতের রেওয়াজ অনুযায়ী বিশেষ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতক্রমে গৃহীত হতে পারে।
প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাই সেই পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনাও আমরা করে রেখেছি। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন বেঁচে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে এ ব-দ্বীপকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ আমরা গ্রহণ করে বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। করোনা অতিমারির সংকট উত্তরণে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতির চালিকাশক্তি সচল রেখেছে। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেলসহ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।