খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি : অনশন

0
848

অনলাইন ডেস্করিপোর্ট” বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপিকে আরও কার্যকর, শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আবেদন-নিবেদন নয়, কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শোষকের কারাগার থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম শুরু করুন। তাঁকে আমরা ধুঁকে-ধুঁকে মরতে দেব না।’

‘মাল্টি-ফাংশনাল’ অসুস্থতা নিয়ে রাষ্ট্রীয় অবহেলায় সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়া মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বলে দাবি করে এলডিপির শীর্ষ এ দুই নেতা বিবৃতিতে বলেন, ‘অবিলম্বে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে সুচিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।’

এলডিপির দুই নেতা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীই নন, সেইসঙ্গে তিনি স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) সহধর্মিণী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। এক ফরমায়েশি রায়ে তাঁকে কারাবন্দি রেখে তাঁর চিকিৎসায় চরম অবহেলা করা হয়েছে। আজ সংবাদপত্রগুলোতে পরিষ্কার করে এসেছে, খালেদা জিয়া নানা রোগে আক্রান্ত। অবিলম্বে তাঁর উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা প্রয়োজন। যেসব রোগের সুচিকিৎসা চিকিৎসক ডেকে নিয়ে করা সম্ভব না। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করা হচ্ছে, দেশের জনগণ নীরবে তা সহ্য করবে না। তাঁর সঙ্গে সরকারের বিরূপ অমানবিক আচরণের জবাব মানুষ কঠোরভাবে দেবে।’

বিবৃতিতে আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়ার পর থেকে সুচিকিৎসার অভাবে ধুঁকে-ধুঁকে মরছেন খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রের বাতিঘরের এ সংগ্রাম কোনো দিন বৃথা যাবে না, বৃথা হওয়ার নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুনে দেশবাসীর মনে হয়েছে, এ দেশে কোনো দিন শান্তি ও শৃঙ্খলা দেখতে চান না। তিনি জনগণকে এখনও বিভাজনের দিকেই ঠেলে রাখতে চান। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, বিভাজনের নীতি করে ব্রিটিশরা যেমন স্বাধীনতা রুখতে পারেনি, অন্যায্যতা করে যেমন পাকিস্তান পারেনি, তেমনি আওয়ামী লীগও পারবে না। মানুষ জেগে উঠে এ বিভাজনের নীতি রুখে দেবে