মো: ইব্রাহিম মিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে: স্বেচ্ছায় টিকা না নেয়া করোনা রোগীদের মেডিকেল বিল এখন থেকে আর পরিশোধ করবে না সিঙ্গাপুর। দেশটিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার এমন কথা বলেছে।
সরকার বর্তমানে সমস্ত সিঙ্গাপুরবাসী- স্থায়ী বাসিন্দা এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসাধারীদের করোনা চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে, যদি না তারা বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর শীঘ্রই করোনা পজিটিভ হন। তবে, সরকার বলেছে ৮ ডিসেম্বর থেকে স্বেচ্ছায় টিকা না নেয়া করোনা রোগীদের চার্জ করা শুরু হবে। যাদের নিবিড় ‘ইন-পেশেন্ট কেয়ার’ প্রয়োজন তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হলো এই টিকা না নেয়া লোকেরা।
প্রভাবশালী বৃটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ
তবে, যারা ভ্যাকসিনের জন্য যোগ্য নন তাদের করোনা-সম্পর্কিত চিকিৎসা বিল এখনও পরিশোধ করবে সরকার। এছাড়া, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আংশিকভাবে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের বিলও সরকার বহন করে তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য সময় দেবে।
টিকা দেয়ার হারের দিক থেকে সিঙ্গাপুর বিশ্বের প্রথম দিকের কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে, যেখানে যোগ্য জনসংখ্যার ৮৫% কে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে।
তবু, দেশটি ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের সাথে লড়াই করছে। এর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান করোনা প্রবাহে “ডুবে” যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। মহামারী মোকাবেলায় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দেশটি কোয়ারেন্টিন-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ প্রসারিত করার একদিন পর এমন ঘোষণা এসেছিল।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এর আগে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী ব্যবসার কেন্দ্র (সিঙ্গাপুর) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকতে পারে না। সিঙ্গাপুর লকডাউন এবং সীমানা বন্ধ সহ জিরো-টলারেন্স কৌশল বদলে করোনার সাথে বসবাস করতে যাচ্ছে।
কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার পর সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে দ্বীপটি অক্টোবরের শেষের দিকে আবার সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি দেয়। করোনার বিস্তার রোধ করতে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর চাপ কমানোর জন্য সামাজিক নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রায় এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, ৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে ২,৪৭০ জন নতুন করে করোনা পজিটিভ শণাক্ত হন এবং ১৪ জনের মৃত্যু হয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ওই সময় ৬৭ জন রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সূত্র: মানবজমিন।