স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির অপেক্ষায় রয়েছে ৯৩ জন বন্দি। এর মধ্যে দুই জন বন্দির নিম্ম আদালত থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা পর্যন্ত তাদের ফাঁসির রায় বহাল থাকার পরেও তারা পূণরায় আদালতে রিভিউ করেছে। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯৩ জন ফাঁসির আসামি রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা রয়েছে ৫ জন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই হত্যা মামলার আসামি। এই ৯৩ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চট্রগ্রামের বাসিন্দা। ৯৩ জন ফাঁসির আসামিদের মধ্যে ৯১ জনই নিম্ম আদালতের রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর যে দুই জন রয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ভিক্ষা পর্যন্ত চেয়ে হেরে গেছেন। এর মধ্যেই তাদের ফাঁসি হয়তো কার্যকর হয়ে যেতো কিন্তু তারা আবার পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি নিয়ে আদালতের কাছে রিভিউ চেয়েছে। আদালত তা গ্রহনও করেছে।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান বলেন, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সাধারণত কোন ঝামেলা করে না। তারা কারাগারে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে থাকে। তাদের সেলের ধরন ও চলা ফেরার অন্য আসামিদের তুলনায় একটু ভিন্ন। একজন ফাঁসির আসামির জন্য কারা বিধি অনুযায়ী খাবারের যে নিয়ম রয়েছে তাদের তাই সরবরাহ করা হয়।
সকালে রুটির সাথে সবজি কিংবা হালুয়া দেওয়া হয়। কখনোবা খিচুরিও দেওয়া হয়। দুপুরে ভাতের সাথে মাছ কিংবা মাংশ, সবজি ও ডাল দেওয়া হয়। আর রাতে ভাতের সাথে সবজি ও ডাল দেওয়া হয়।