ফরাসি দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী বার্নার্ড-হেনরি লেভির সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী বার্নার্ড-হেনরি লেভির এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, শ্রীলংকার দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স বিজয়ন্তী এদিরিসিংহে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর স্কট আরবো, বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ সৈয়দ আখতার মাহমুদ এবং ভার্জিনিয়া টেকের অধ্যাপক সাইফুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দার্শনিক বার্নার্ড-হেনরি লেভি বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য লড়াই করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেন তাকে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বার্নার্ড-হেনরি লেভি শতাধিক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করার জন্য বিখ্যাত ফরাসি মন্ত্রী আন্দ্রে ম্যালরাক্সের একটি আন্তর্জাতিক ব্রিগেডের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম।
বার্নার্ড হেনরি লেভি তার বক্তৃতায় বাংলাদেশকে একটি উদার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের সম্মান ও তাদের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে সহনশীলতার উদাহরণ ও মডেল। তিনি বলেন, অভিবাসীদের প্রতি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবিকতার বিষয়ে ধনী পশ্চিমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে লেভির লেখা সর্বশেষ বই-দ্য উইল টু সি অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।