সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এসময় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক এবং এখনও বিভিন্ন স্থান থেকে আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি জানান, আটক নেতাকর্মী হলেন- কৃষকদল কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন নান্নু, তাঁতী দল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ আর বি মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রেজ্জাক, কামরাঙ্গিরচর থানা যুবদল নেতা মো. ফরিদ, নিউমার্কেট থানা যুবদল নেতা চায়না সুমন, যাত্রাবাড়ী থানা যুবদল নেতা মো. জসিম।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, রেজাউল ইসলাম প্রিন্স, যুবদল নেতা, রমনা থানা; মো. সুমন- বিএনপি নেতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; মো. রাসেল- লালবাগ থানা বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; মো. রাকিব, বদরুল, জুয়েল, লালবাগ থানা বিএনপি, মো. শুক্কুর, শাহবাগ থানা বিএনপি নেতা; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; মো. মুতাছিন বিল্লাহ-ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মো. জেহাদুল রঞ্জু- ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মো. আবু সুফিয়ান – ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; আবু হান্নান তালুকদার- ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জাসাস নেতা হাজী আবদুল কাইয়ুম, মো. জসিম উদ্দিন, ৬২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা; মো. তুহিন – ডেমরা থানা বিএনপি নেতা; রাকিব, রাসেল, সালাহউদ্দিন, মহিউদ্দিন, ইমরান গাজি; যুবদল নেতা ইউনুস; ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুস্তুম আলী; বাবুল আহমেদ মুন্না; শাহাদাৎ হোসেন; নাসির উদ্দিন বিপ্লব; বোরহান উদ্দিনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ছাড়া পুলিশের গুলি ও হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন, গোলাম মাওলা শাহীন- আহ্বায়ক, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন। মিজান- যুবদল নেতা, শাহবাগ থানা; টুটুল- যুগ্ম আহবায়ক, কদমতলী থানা; হানু মিয়া- যুবদল নেতা, কোতয়ালী থানা; মোস্তফা- যুবদল নেতা, রমনা থানা; শফিকুল আলম রুবেল- যুবদল সদস্য, শাহবাগ থানা; পল্টন থানা বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা জিয়াউল আনোয়ার, জাহিদ, স্বপন, সুফিয়ান, চন্দন, শামসুদ্দিন ভুইয়া, আব্দুর রশিদ, আমির হোসেন, সাত্তার, শামিম, যুবদল নেতা মইন, মোহন মোল্লা, জাবেদ ইকবাল- সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা মহানগর পূর্ব; ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরা আক্তার রিক্তা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক সেলিনা সুলতানা নিশিতা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শওকত আরা উর্মি; সোনিয়ারা – মহিলা দল নেত্রী- হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে; নাসরিন- মহিলা দল নেত্রী; ওমর ফারুক কাওসার-সহ সভাপতি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ; মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক ভূঁইয়া; সুজন মোল্লা – যুগ্ম সম্পাদক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; মিল্লাত উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; আজিমুল হাসান চৌধুরী – যুগ্ম সম্পাদক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; মো. মহসিন – ছাত্রদল নেতা- সিদ্ধেশরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
এসময় বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমি পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক হামলা এবং নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’