ব্যবসায়িক যোগাযোগের সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

0
485

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের ব্যবসায়িক যোগোযোগের সেতুবন্ধন হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যেসব ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসবেন, তারা এখান থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজার ধরার সুযোগ পাবেন। সরকার সেভাবেই দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছে। সড়ক, নৌ, রেল এবং আকাশপথ উন্নয়নে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেছে।

সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশের ৫৫২ উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সম্মেলন আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় ৯ খাত যেমন- অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ও ফিনটেক, চামড়া, ওষুধ, স্বয়ংক্রিয় ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট-বস্ত্র শিল্পসহ অতি চাহিদাসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য উৎপাদন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছে যা সময়োপযোগী।’

তিনি বলেন, ‘নতুন আর কী কী পণ্য আমরা উৎপাদন করতে পারি এবং রপ্তানি করতে পারি, সেটাও গবেষণা করে বের করতে হবে। কোন দেশে কী পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেটা অনুধাবন করে তা আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে পারি কি-না বিবেচনা করতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘কাজেই আমাদের ব্যবসায়ী বন্ধুরা বিশেষ করে বেসরকারি খাতে-তাদের প্রতি অনুরোধ জানাবো আপনারা বিষয়টার দিকে নজর দেবেন। কারণ, আমাদের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ফলে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের নবদ্বার উন্মোচিত হবে। রপ্তানি বাড়বে এবং বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে।