সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন। বনের ৫০৪ একর জায়গাকে ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জলে অর্ধেক ডুবে থাকা হাজারখানেক সবুজ উদ্ভিদ অতিক্রম করে ডিঙ্গি নৌকায় বনের গহীনে ভ্রমণ করতে পর্যটকেরা এখানে ভিড় জমান।
নির্জন বন, পাখির কিচিরমিচির, সাদা বকের ওড়াউড়ি, সবুজের প্রশান্তি মানেই রাতারগুল। জলের ওপর বৃক্ষের বিস্তার বনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বনের ৮০ শতাংশ অংশ উদ্ভিদের আচ্ছাদনে আবৃত। এ বনে মোট ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। হিজল, বেত, কদম, করচ, মুর্তা, অর্জুন, ছাতিম, বট উল্লেখযোগ্য। ক্রান্তীয় জলবায়ুর এ বনে প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাই মাসে।
জলে ডুবে থাকা এ বনে রয়েছে নানা প্রাণীর সমারোহ-সাপ, জোঁক, বেজি, গুইসাপ থেকে শুরু করে রয়েছে বক, মাছরাঙা, টিয়া, পানকৌড়ি, বুলবুলি, চিল, বালিহাঁস, শকুন, বাজপাখি। এছাড়া টেংরা, খলিসা, পাবদা ও কালবাউসসহ হরেক প্রজাতির মাছ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এবং জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বনটি পর্যটনের জন্য বেশ সম্ভবনাময়।