বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আমলে দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দুস্থদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন মাদরাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে কাপড় বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। এখন এই শান্তি কারা নষ্ট করছে? কারা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে? এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। জিয়াউর রহমানের আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি। খালেদা জিয়ার আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি? আজকে শেখ হাসিনার আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনতে হয়। তাহলে নিশ্চয়ই এখানে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগই এ সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে বলে আমরা ধারণা করছি। তাহলে তারা কি কাউকে খুশি করার জন্য এ কাজটি করছে? এখন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ধীরে ধীরে গর্তের মধ্য থেকে বিষাক্ত সাপের মতো বেরিয়ে আসছে। হাজীগঞ্জে যাদের সংঘাত করতে দেখা গেছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এখন এগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
সাম্প্রদায়িক হামলা আওয়ামী লীগ ঘটিয়ে এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে রিজভী আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা কি ওই স্পটে ছিলেন? বিএনপি নেতাকর্মীদের কি কেউ দেখেছে? তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন কেন? যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের গ্রেফতার করছেন কেন? আপনাদের সোনার ছেলেরা তারা এই সংঘাতের সঙ্গে জড়িত এটা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।
দেশে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুস্পষ্ট বাংলাদেশের যত সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়েছে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত দাবি করে রিজভী বলেন, তারা তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে এ কাজটি করছে। কারণ তাদের ব্যর্থতা এত বেশি যে তা আড়াল করতে হয়। সেই ব্যর্থতা আড়াল করার জন্যই তারা এ কাজগুলো করছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে ভারত তিস্তা নদীর বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কই প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে তো কোনো প্রতিবাদ করেননি। নীলফামারী তলিয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ নিম্নাঞ্চল এখন প্লাবিত। এটা নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার সাহস করে কিছু বলতে পারছে না বলেই যার যা ইচ্ছে তাই করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।