পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সার্বিয়ার বেলগ্রেডে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ড. দারিজা কিসিক টেপাভসেভিচ এবং বাণিজ্য, পর্যটন ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী টাটজানা মেটিকের পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত ন্যামের বিশেষ বৈঠক চলাকালে সাইড লাইনে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সেদেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সার্বিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী ইউরোপের অন্যতম প্রথম দেশ হিসেবে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. মোমেন। এ দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন এবং সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসাবিহীন যাতায়াত এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে প্রক্রিয়াধীন সমঝোতা স্মারক দুটি দ্রুতই স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন। তারা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা করেন।
সার্বিয়ার শ্রমমন্ত্রী ড. মোমেনের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের আলোচনায় আর্থ-সামাজিক বিষয় স্থান পায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় ভূমিকার প্রশংসা করেন সার্বিয়ার শ্রমমন্ত্রী।