নয়াপল্টনে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

0
440
আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনারা নিশ্চয়ই সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাহেবের ফাঁস হওয়া একটি চাঞ্চল্যকর টেলিফোন রেকর্ড শুনেছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের একটি মেগা প্রজেক্ট বিনা টেন্ডারে পাশ করিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছেন। সেই কলরেকর্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এটাকে বলেছিলেন-ইনোসেন্ট কনভারসেশন’।
এই ঘটনা উন্মোচিত হওয়ার পর যখন ফুঁসছে মানুষ তখন জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করতে নির্লজ্জ নিরেট মিথ্যাচারের বেসাতিতে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জয়। তিনদিন আগে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা তার ভেরিফাইড ফেসবুকে বহু বছরের পুরানো একটি ভূয়া হাস্যকর ভিডিও আপলোড দিয়ে দাবি করেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উৎকোচ চাওয়ার কারণে নাকি ২০০৫ সালে ভারতের টাটা কোম্পানী বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছিল! সরকারী বার্তা সংস্থা বাসস, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সকল দলদাস মিডিয়া এই খবর দিবা-রাত্রি প্রচার করে চলেছে। এই আজগুবী উদ্ভট ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আবারো প্রমানিত হলো আওয়ামী লীগ জেনেটিক্যালি মিথ্যাবাদী স্বৈরাশাসক। অপ্রিয় সত্য হচ্ছে, আগামী দিনের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করাটাকে শেখ হাসিনা কিংবা তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
সচেতন সাংবাদিক বন্ধুগণ, “তারেক রহমানের অতিলোভের কারণে ২০০৫ সালে টাটার তিন বিলিয়ন ডলারের মেগা বিনিয়োগ থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছিল’-জয়ের এমন নগদ মিথ্যাচার সম্পর্কে আপনাদের সামনে আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রামান্য তথ্য উপস্থাপন করতে চাই।
এক. ভারতীয় বহুজাতিক গোষ্ঠী টাটা গ্রুপের অবাস্তব বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন ড. আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বাধীন বামপন্থীদের বড় প্ল্যাটফরম তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা লাগাতারভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচী, সভা-সেমিনার কর্মসূচীতে রাজপথে উত্তাপ ছড়ায়। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সকল আন্দোলনের সাথে সেই সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সরাসরি সংযুক্ত ছিল এবং তারা যৌথভাবে কর্মসূচী পালন করতো। আওয়ামী লীগের অন্যতম সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে টাটা গ্রুপের বিনিয়োগ প্রস্তাবকে আত্মঘাতি ও আত্ম মর্যাদাহীন দেশ বিরোধী আখ্যা দিয়ে তীব্র ভাষায় বক্তব্য রাখেন। তখন আওয়ামী লীগের সকল এমপি টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন দেন। পরবর্তীতে ওয়ান ইলেভেনের কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা দখল করলে সেই সরকারের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের বিচার চেয়ে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ হতে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে স্মারকলিপি দিয়ে তার বিরুদ্ধে টাটার বিনিয়োগ প্রস্তাব বিষয়ে তিনটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল- “টাটা’র কয়লা এবং গ্যাস ও কয়লাজাত পণ্য রপ্তানিমুখী প্রকল্পের ১ম প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নে নাকচ হয়। তিনি স্বীয় বিবেচনায় ২য় প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের উপেক্ষা করে তথাকথিত সচিব কমিটির মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করেন। সরকার গণপ্রতিরোধের মুখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিরত থাকে। মাহমুদুর রহমান টাটার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রাখেন।” তাদের এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন হলেও তাদের এই কথা থেকে বোঝা যায় যে- টাটা’র প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যাপারে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি উত্থাপিত এই তিনটি অভিযোগেও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত, টাটা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করেনি বরং তৎকালীন গনমুখী বিএনপি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনগণের বিরোধিতার কারণে বাংলাদেশ টাটার বিনিয়োগ প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
সুতরাং, উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগে টাটা বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মূর্খতাপূর্ণ, অরুচিকর, মিথ্যা এবং বানোয়াট। এই প্রকল্পের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা একটি ডাহা মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক। সেই সময় টাটা গ্রুপের বিনিয়োগের বিরোধিতা করা আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে টাটা গ্রুপের বিনিয়োগ না হওয়ার বিষয়ে হা-হুতাশ রীতিমতো ভন্ডামি।
দুই.
টাটা গ্রুপের নাম মাত্র দামে গ্যাস লাভের অবাস্তব প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তা প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টি সেই সময়ের সকল দেশি এবং বিদেশি মিডিয়াতেই ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। আপনারা দেখেছেন তৎকালীন জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান গতকাল একটি বিবৃতি দিয়ে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। মাহমুদুর রহমান বলেন,”আমি জ্বালানি উপদেষ্টা থাকাকালীন সময়ে ২০০৪ সালে টাটা গ্রুপের প্রধান রতন টাটা বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং একটি সার কারখানা, একটি ইস্পাত কারখানা ও সেগুলো পরিচালনার জন্য একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তাদের প্রস্তাবে শর্ত রাখা হয়েছিল যে, এই তিনটি প্রকল্পের জন্য তাদেরকে ২০ বছর যাবৎ ১.১০ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি ইউনিট (এক হাজার ঘন ফিট) গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। সেই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য ছিল প্রতি ইউনিট ৫.৮৯ ডলার। টাটার প্রস্তাবে গ্যাসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার তো বটেই, দেশের অভ্যন্তরীণ গৃহস্থালী কাজে ব্যববহৃত গ্যাসের মূল্যের চেয়েও অনেক কম ধরা হয়েছিল। সেই কারণে আমি সেই সময় তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি এবং গ্যাসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করতে বলি। ২০০৬ সালে তারা গ্যাসের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি করে সার কারখানার জন্য ৩.১০ ডলার এবং ইস্পাত কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য ২.৬০ ডলার প্রতি ইউনিট দামে আবারও ২০ বছরের জন্য গ্যাস সরবরাহের গ্যারান্টি ক্লজ সহ নতুন প্রস্তাব দেয়। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল-৬.৭৩ ডলার। দেশের জনগণের সম্পদ এত কম দামে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে জনগনের সাথে বেঈমানী করার মনমানসিকতা আমার বা তৎকালীন সরকারের ছিলো না। ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সাথে টাটা গ্রুপের প্রস্তাবিত দামের এই বিপুল পার্থক্যের কারণ দেখিয়ে আমি তাদের প্রস্তাবও বাতিল করে দেই। এই সময় তারা তাদের প্রস্তাব স্থগিত করে। এরপরও টাটা গ্রুপ কম দামে গ্যাসের জন্য ২০০৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের কাছে তদবির চালিয়ে যায়। কিন্তু সেই সরকারও টাটার আবদার পুরণ করতে না পারায় ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে টাটা ঘোষণা দেয় যে, তারা তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব ফিরিয়ে নিচ্ছে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রতন টাটা’কে আমন্ত্রণ জানানো, টাটা গ্রুপের প্রস্তাব, সেটি বিচার বিবেচনা করা, তাদের সাথে যোগাযোগ করা এবং শেষ পর্যন্ত তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পুরো বিষয়টি জ্বালানি উপদেষ্টা হিসাবে আমার তত্ত্বাবধানে সরকারি আমলাদের মাধ্যমে হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে বিশাল অঙ্কের বেতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসে অসত্য তথ্য দিয়ে তাদের সরকারের মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতায় কেবল রক্ষা করেছেন। তিনি আওয়ামী মিথ্যাচারের রাজনৈতিক স্স্কংৃতির স্বমহিমায় বিরাজমান। ক্ষমতাবিলাস, দুর্নীতিকে জেনারেল লাইসেন্স দেয়া, আওয়ামী রাজনীতির ভূষণ। এদের আমলেই দুর্নীতি পাগলা ঘোড়ার মতো বেসামাল হয়ে পড়েছে।
তিন.
বিএনপি সরকারের পর ওয়ান ইলেভেনের কথিত তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে অবাস্তব চাহিদা পুরণের জন্য এক বছর যাবত ধর্না দিতে থাকে টাটা কর্তৃপক্ষ ।অবশেষে ব্যর্থ হয়ে ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহারের ঘোষনা দেয় টাটা। বিবিসি এবং জার্মান সম্প্রচার মাধ্যম ডয়চে ভেলের ২০০৮ সালের ৩১ জুলাই প্রকাশিত সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সালের মে মাসে টাটা সন্সের পরিচালক এলান রোজলিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সর্বশেষ বিনিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল৷ চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা না দেয়ায় টাটা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা গ্রুপ৷ চাহিদা অনুযায়ী প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট নয়৷ ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ণের কোন সম্ভাবনা নেই৷ এজন্য টাটা গ্রুপ বাংলাদেশে সব বিনিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে৷”
টাটা যখন নিজেই স্বীকার করছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে আর সজিব ওয়াজেদ জয় আবিষ্কার করেছে যে, উৎকোচ চাওয়ার কারণে নাকি টাটা বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে সজিব ওয়াজেদ জয়কে বলতে চাই-‘কোন সত্য কোনদিনই অতীত হতে পারে না’।
চার.
টাটার বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য তৎকালীন সরকার প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিল। প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ টাটার সঙ্গে আলোচনায় দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি “ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম এবং নিরবচ্ছিন্ন ২৫ বছর গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা” নিয়েই দ্বিমত থাকায় টাটা তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। এই কমিটি সিদ্ধান্তে আসেন যে -“এটি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে না।” এক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়াও হস্তক্ষেপ করেন নি। তারেক রহমান এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সম্পৃক্ত হওয়া আষাঢ়ে গল্প মাত্র।
পাঁচ.
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বানোয়াট ও হাস্যকর এই ভিডিওতে বলা হয়েছে-টাটা বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব করেছিল। মামুন নাকি টাটা কর্তৃপক্ষের সাথে একান্ত বৈঠকে “২০০ কোটি ডলার আর এখন নির্বাচনের সময় ১০০ কোটি ডলার দিতে হবে” বলে উৎকোচ দাবী করেছিলেন। আমরা সকলেই জানি ১ বিলিয়নে হয় ১০০ কোটি আর ৩ বিলিয়নে হয় ৩০০ কোটি।তাহলে পুরোটাই উৎকোচ চেয়েছে ?? মিথ্যাচার করারও তো একটা সীমা থাকে। হিটলারের প্রচারমন্ত্রী জোসেফ গোয়েবলসও এ কথা শুনে বেহুঁশ হয়ে যেতেন ।
সুহৃদ সাংবাদিক বন্ধুগণ,
প্রতিটি মানুষ জানেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে জয়ের ফেসবুকে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ণ নির্জলা মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো স্ট্যাটাস দেয়ার নেপথ্যে আইনমন্ত্রী ও একজন উপদেষ্টা ফোনালাপকে আড়াল করা। বাংলাদেশে একটি প্রবাদ আছে-যার মনে যা, ফাল দিয়ে ওঠে তা। তিনি তারেক রহমানের অভাবিত জনপ্রিয়তা অবলোকন করে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দূর্নীতি লুটপাট, সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের হাহাকার আর আহাজারী থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাই মূল লক্ষ্য। মিথ্যা বলা আওয়ামী লীগের জীবিকা উপার্জনের একমাত্র উপায়। কারণ এরা এদেশের আর বৈধ সত্তা নয়। অসত্য ও কাল্পনিক গল্প বানিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে বিভ্রান্ত করা যাবে না, জনগণ এখন অনেক সচেতন। এই দিন চিরদিন থাকবে না। নিশিরাতের সরকারকে রক্ষার সব পথ দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে। এখনও এদেশের তরুণ যুবকের রয়েছে অপরাজেয় জীবনীশক্তি, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রবল উত্থানে এই গণবিরোধী সরকারের পরাজয় এখন অত্যাসন্ন।
ফেসবুকে সজিব ওয়াজেদ জয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন আমি বিএনপি’র পক্ষ থেকে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি