কুমিল্লার ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র : আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

0
749

আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হক বলেছেন, কুমিল্লার হামলাকে সাম্প্রদায়িক হামলা বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। কুমিল্লার ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি অত্যন্ত দু:খিত, কিছু কিছু জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটা বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভারত সরকারের দেওয়া ২টি এম্বুলেন্স প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে যে কথা লেখা আছে, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন সে সংবিধানের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। যতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ জীবিত থাকবে, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ জীবিত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত জীবিত থাকবে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও ।

তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে যে কমিশন গঠনের দাবী উঠেছে সেটি নীতি নির্ধারকদের (কালেক্টিভ) সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি আমার একার সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আমরা বাঙালী, আমাদের দু:সময়ে যারা সাহায্য করে বন্ধুদের হাত বাড়িয়ে দেয় আমরা তাদেরকে কখনও ভুলি না। এম্বুলেন্স উপহার দেওয়ায় তিনি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে দুরাইস্বামী বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর কালে বাংলাদেশকে ১০৯টি এম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই এম্বুলেন্সগুলো প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ে ভারতের প্রয়োজনে বাংলাদেশও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও জনগণের কল্যাণের জন্য ভারত তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মিসেস দুরাইস্বামী, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি বিক্রম কুমার দুরাইস্বামীর হাতে আখাউড়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত স্থানের আলোচিত্র উপহার দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক উপহার দেওয়া হয়।