রাজারহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

সোহেল রানা, কুড়িগ্রাম

0
383

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারিবর্ষনে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ২ সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে। পানিতে ডুবে গেছে আলু, মরিচ, পিয়াজ শাক-সবজি সহ কয়েক শত হেক্টর আগাম জাতের শীতকালীন সবজি ক্ষেত। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিম চলমান বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। সন্ধ্যা থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে পানি। আকস্মিক তীব্র পানি প্রবাহ দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পরেন। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধের রাস্তা ও আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এছাড়া বুধবার স্থানীয় ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ ওই স্থানগুলোতে রেড এলার্ট জারি করেন।

ভারতের গজল ডোবার সবকটি গেট খুলে দেয়ায় এবং তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাট বাইপাস ভেঁঙ্গে যাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যারেজের গেটগুলো খুলে দেয়ার কারনে রাজারহাট সহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।

বর্তমানে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম, নামাভরাট, বগুড়াপাড়া মধ্যচর ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নেরচতুরা, মন্দির, রামহরি, তৈয়বখাঁ, পাড়ামৌলায় মানুষদের খাবার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খাদ্য সামগ্রী ঘরে থাকা সত্বেও অনেকেই রান্না করে খেতে পারছেন না।